এম.এ রফিক, স্টাফ রিপোর্টার জামালপুর :
‘প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি’ বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারি অনেক কর্মকর্তা—কর্মচারীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের নাম শুনলেও সাধারণ মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য ছুড়ে দেন হরহামেষাই। তবে এরমধ্যে অনেক ভালো কর্মকর্তাও রয়েছেন। যাদের দক্ষতা, মার্জিত ব্যবহার, জনমূখী কর্মকান্ড, পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন, ন্যায় পরায়নতা ও সেবা গ্রহিতাদের কথা ধৈর্যে্যর সাথে শ্রবণ করে সমাধান বের করে দেওয়া, গন্ডির বাইরে গিয়েও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। এমনই একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকী। তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। ২০২৪ সালে ২৭ মে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ৩৫তম বিবিএস ক্যাডার। মাত্র ১ বছরে সরকারি—বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। সব মিলিয়ে নাগরিক সেবায় কাজের চাপ বাড়লেও কমেনি সেবার মান। এদিকে সদর উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় রয়েছেন সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি—পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান—অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার,পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহের সংবাদ পেলেই ব্যবস্থা নেন দ্রুত। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছেন। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। অপরদিকে জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্টের পর নানাবিধ কারনেই মাঠ প্রশাসনে কাজের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির এডহক সভাপতি’র পদে থাকার কারনে নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কাজের চাপ বৃদ্ধি পেলেও এ উপজেলার নাগরিক সেবার মান একটুও কমেনি। বরং আগের চেয়ে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যের কৃষি বাজার মনিটরিং করেন। যা উপজেলার সর্বত্র সুনাম অর্জন করে। এছাড়াও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ছাত্র—ছাত্রীদের মেধা বিকশিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার সামগ্রী বিতরণ সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে আসছেন। উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ইউএনওর কাছে যে কোন লোক গেলে তিনি তাকে সন্মান করেন এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করে দেন। আমি এক কথায় বলবো এরকম সৎ ও যোগ্য ইউএনও খুবই কম আছে। এর আগে জামালপুরের সাবেক ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান সাধারণ মানুষের সাথে মিশে জামালপুরের ১৫টি ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ করে গেছেন। তার কথা এখনো আমাদের মনে পড়ে। কেন্দুয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান বলেন বর্তমান ইউএনও মহোদয় একজন ভালো মনের মানুষ। তিনি ইউনিয়নের বাস্তবায়নাধীন প্রতিটি প্রকল্প নিজে তদারকি করেন। যার কারনে শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। কেন্দুয়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (মোঃ আতাহার আলী) বলেন আমরা একজন দক্ষ ও নিষ্ঠাবান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়েছি। তার নির্দেশনায় ইউনিয়নের সকল কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকী বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। সে হিসেবে যেখানেই চাকুরী করেছি সব সময় নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যতদিন জামালপুর সদর উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাব। সর্বোপরি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।
প্রধান উপদেষ্টা: আতিকুল ইসলাম আতিক, উপদেষ্টা: অথই নূরুল আমিন, সম্পাদক / প্রকাশক: মো.টুটুল তালুকদার, নির্বাহী সম্পাদক: সাজ্জাকুল ইসলাম (রাজ্জাক), আইন বিষয়ক সম্পাদক: এডভোকেট নূরনবী সরদার, প্রধান কার্যালয়: চান্দনা চৌরাস্তা প্রশান্ত কমপ্লেক্স (2) ---২ তলা , কাঁচাবাজার রোড গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কোড:-'নং: ১৭০২, বাংলাদেশ, যোগাযোগ, ✆ মোবাইল: ০১৭৫৭-২৮৬৩০২ / ০১৯২৩-৪২৪১৭২ (সম্পাদক / প্রকাশক) ই-মেইল: [email protected]
(Post / Zip Code) No. :-" 1702, Gazipur, Chandna, Chowrasta web: https://www.dailysomoyerdak.com
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫