• সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গাজীপুরে চামচা রং ঢং ও গাজীপুর ক্রাইম ফেসবুক ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন পেশার মানুষের নামে মিথ্যা পোস্ট অপপ্রচার কবিগুরুর কাচারীবাড়ি পতিসরে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্র উৎসব আ. লীগ নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জম-জমাট ভেজাল মশলার বানিজ্য, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য যশোরের বেনাপোলে ৫ মামলার আসামি আটক কেশরহাটের সরকারি জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ ঘর উচ্ছেদ গাজীপুরে নারী সাংবাদিকের সাথে তিতাসের ম্যানেজারের অসৎ আচরণের অভিযোগ খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে, বিমান বন্দরে তানভীর সিরাজ হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা, দেওয়ানগঞ্জের চেয়ারম্যান সেলিম গ্রেফতার রাজশাহীতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব এর উদ্দ্যোগে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত

কবিগুরুর কাচারীবাড়ি পতিসরে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্র উৎসব

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, নওগাঁ / / ১২ Time View
Update : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, নওগাঁ :

আবৃত্তি, গান, নাচ আর আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে শেষ হলো কবিগুরুর কাচারীবাড়ি নওগাঁর পতিসরে কবির জন্মবার্ষিকীর আয়োজন। ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন তিনদিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো।

শনিবার সন্ধ্যায় এই আয়োজনের সমাপনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে পতিসর কাচারী বাড়ির দেবেন্দ্র মঞ্চে রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা, আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর নিয়মিত শিল্পরা। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন, রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান, অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সুধীজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আত্রাই উপজেলার নাগর নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠা নিভৃত পল্লী পতিসর কাছারি বাড়ি। কবিগুরু জমিদারী প্রাপ্ত হয়ে প্রথম পতিসরে আসেন ১৮৯১ সালে ১৫ জানুয়ারিতে। এরপর থেকে কবি ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত নাগর নদ দিয়ে বজরায় চড়ে নিয়মিত এই কুঠি বাড়িতে আসতেন। সবশেষ আগমন ঘটে ১৯৩৭ সালে ২৭ জুলাইয়ে। এখানে বসে রচনা করেছেন অনেক বিখ্যাত কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ। কবিরগুরুর বিখ্যাত কবিতা আমাদেও ছোট নদী, তালগাছ, দুই বিঘা জমি, বিখ্যাত উপন্যাস গোড়াসহ অসংখ বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম এই পতিসরে বসেই রচনা করেছিলেন।

ররীন্দ্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা জেলা প্রশাসনের সাথে ছিলেন এবং বিভিন্ন ভাবে অংশগ্রহণ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী সফল করতে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে জানাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। এ অঞ্চলের সাংবাদিক থেকে সুধিবৃন্দ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রত্যেকেরই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। রবীন্দ্রনাথের মানবিক দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে মানব হৃদয়ে আত্মশুদ্ধি এবং চেতনার অধিকারের সাথে দায়িত্ববোধের উন্মেষ ঘটবে নতুন প্রজন্মের মাঝে এই প্রত্যাশা করেন জেলা প্রশাসক।


More News Of This Category
bdit.com.bd