জোবায়ের হোসেন (ইফতি) বিশেষ প্রতিনিধি :
গাজীপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর চৌরাস্তার চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে প্রায় দুই হাজার রোজাদার ব্যক্তির জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেন নগরীর বাসন মেট্রো থানা বিএনপি। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে গাজীপুর মহানগর বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শওকত হোসেন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপি বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শওকত হোসেন সরকার বলেন গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আগে আমাদের এরকম কোন অনুষ্টান করতে দেয়নি ওই ফ্যাসিস্ট সরকার। আজকের এই চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে গত ১৭ বছর আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি, তাই আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির এই আলোচনা সভা সকলের জন্য মুক্ত করে দেয়াতে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এই দোয়া মাহফিল মুখরিত হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন সাধারণ মানুষের জন্য এমন জনকল্যাণমুখী কাজে আমাকে আপনাদের সাথে আমি থাকবো, তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপিই পারবে গাজীপুরের চুরি ছিনতাই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে, গাজীপুর চৌরাস্তায় ইদানীং ছিনতাই বেরে গেছে, আপনারা সহযোগিতা করলে আমরা এসব ছিনতাইকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবো। তিনি বলেন মাদক ব্যবসায়ীদের সন্ধান দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, বাসন থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বশির আহমেদ বাচ্চু, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির রাজু, মোঃ আমিনুল ইসলাম, রায়হান আহমেদ হৃদয় প্রমুখ। আলোচনা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া করেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে গাজীপুর মহানগর ও বাসন মেট্রো থানা এবং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন।