অথই নূরুল আমিন :
বাংলাদেশের তেপ্পান্ন বছরের ইতিহাসে, এই জুলাই বিব্লব সবচেয়ে বড় একটি বিব্লব। অনেকেই এই বিব্লবকে দ্বিতীয় স্বাধীনতাও ঘোষণা দিয়েছেন। এই বিব্লবে শত শত তাজা প্রান অকালে ঝরে গেছে। হাজারো জনের বেশি আহত হয়েছেন। দীর্ঘদিনের একটি দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে যারা শহীদ হয়েছেন। তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে হলেও সরকার ঘোষিত। বা কোনো রাজনৈতিক দল অথবা সকল দল মিলে হলেও জুলাই বিব্লব বইমেলা চাই। চাই চাইই। শেখ হাসিনা সরকারের পনেরো বছরের দুঃশাসনের চিত্র শুধু নয়। এই বইমেলা হোক সকল ধরনের অপশাসনের বিরুদ্ধে। ভবিষ্যতে ও যেন আর কখনও কোনো স্বৈরাচারী সরকার এই দেশে আসতে না পারে। এবং জুলাই বিব্লবের পক্ষের সকল লেখক লেখিকাগণ থাকুক একই মঞ্চে এই আমার চাওয়া। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, জুলাই বিব্লবকে সমর্থন দিয়ে দেশের হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী, কলম যোদ্ধা, কবিও সাহিত্যিক গণেরা স্বৈরাচারবিরোধী লেখা রচনা করেছেন। যেমন গল্প, কবিতা,ছড়া, জীবন কাহিনি ও স্মৃতিচারণসহ ইত্যাদি। গত একুশে বইমেলায় হাজারো বই প্রকাশ হয়েছে একক অথবা যৌথ। এখনো জুলাই বিব্লব নিয়ে বিভিন্ন রচনা রচিত হচ্ছে। এমনকি সিনেমা কাহিনি সহ জুলাই বিব্লবকে যারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এবং জুলাই বিব্লবকে কেন্দ্র করে যারা মনে করছেন আপনারা স্বাধীন হয়েছেন। তাদের কাছে আমি আবেদন করছি। আপনারা জুলাই বিব্লব বইমেলা ২০২৫ পালন করুন, এমনকি প্রতিবছরই করার জন্য প্রস্তুতি নিন। এতে জুলাই বিব্লব শক্তিশালী হবে। স্থায়ী হবে। এবং ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে জুলাই বিব্লবের ইতিহাস। পৌঁছে যাবে স্বৈরশাসনের অপকর্মগুলো। এতে কঠিন ভাবে সমাজ পরিবর্তন হবে। ভালোর দিকে এগিয়ে যাবে নব প্রজন্ম। জুলাই বিব্লব এর পক্ষে যারা লেখালেখি করেছেন যেসকল লেখক লেখিকাগণের লেখাগুলো নতুন আঙ্গিকে আয়োজক কমিটির ব্যানারে ও অর্থায়নে প্রকাশ করুন। এবং সেই সকল লেখকগণ সবাইকে একই মঞ্চে আনুন। তাদেরকে সম্ভব হলে পুরস্কুত করুন। এরকম কিছু কাজ করলেই জুলাই বিব্লবের ইতিহাস শত বছরের জন্য এমনকি তারচেয়েও বেশি স্থায়ী হবে বলে আমি মনে করি। ৭১ এর স্বাধীনতাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিকদল এমনকি কুচক্রীমহল, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাটক করার ফলে ইতিহাস বারবার পরিবর্তন করার ফলে, ৭১ এর ইতিহাস বিকৃতি করার ফলে,সেই স্বাধীনতার স্বাদ নব প্রজন্ম ভোগ দখল না করতে পেরে। সেই সকল যুবকেরা( নব প্রজন্ম ) জুলাই বিব্লব ঘটিয়েছে। তাই জুলাই বিব্লব এর ভিত্তি মজবুত করতে, দেশের কবি, সাহিত্যিকগণকে একই মঞ্চে আনতে,এখন থেকেই জুলাই বিব্লব বইমেলার আয়োজন করা প্রয়োজন । জুলাই বিব্লবের ইতিহাস দেশে- বিদেশে জোরালোভাবে প্রচার ও প্রমাণ করা জরুরি । জুলাই বিব্লবের ইতিহাস নির্ভুল ভাবে প্রকাশ করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে, জুলাই বিব্লব সঠিক ছিল। এবং আগামী প্রজন্মকেও জানাতে হবে জুলাই বিব্লবের মুল ভিত্তি। জুলাই বিব্লবে আহত – নিহত এবং আন্দোলনে অংশ নেয়া নেতাদের নাম স্বরণ রাখার জন্য একমাত্র বইই হতে পারে প্রধান বাহন। সুপরিকল্পিতভাবে খুবই বিচক্ষন ভাবে জুলাই বিব্লবের পক্ষের সকল লেখক লেখিকা (আনুমানিক ৩৫ হাজার প্রায়)। সারাদেশের তিনশ নির্বাচনী এলাকায় বারোশ স্পটে নতুন আঙ্গিকে নতুন ফর্মূলায় বই প্রকাশ করে। জুলাই বিব্লবকে বিশ্ব দরবারে এবং আগামী প্রজন্ম’র মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে এই বিজয় দীর্ঘমেয়াদী হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক বা জাতীয় নাগরিক পার্টি অথবা সরকারের পক্ষ থেকে এই জুলাই বিব্লব বইমেলার আয়োজন করলে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচারের ক্ষেত্রে বা সরকারের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে খুবই ফলফসূ হবে বলে আমি মনে করি।