• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্ম্য, সেবায় চরম বিঘ্ন ও ভোগান্তি রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নস্থ সোনাইছড়িতে মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব২০২৫ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে বিএনপি নেতার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল, নিন্দার ঝড় । দৈনিক সময়ের ডাক গাজীপুর মহানগরের ১৪ নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান গাজীপুর ছাত্রদলের দুর্দিনের কর্মী অনিক কে বহিষ্কার করায় প্রতিবাদের ঝড় কর্মীদের মাঝে গাজীপুর মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন নববর্ষে বর্ষবরণের বর্ণিল শোভাযাত্রায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ গাজীপুরে বাসন মেট্রো থানা জিয়া সৃতি সংসদ বৈশাখী শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের আনন্দময় উৎসব —-মো: টুটুল তালুকদার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, প্রিয় আশিক চৌধুরী বনাম একশ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রসঙ্গে খোলা চিঠি। নওগাঁয় ক্ষুদ্রনৃগোষ্টি আদিবাসী পরিবারের গৃহবধু পরোকিয়ার বলি শিকার অতঃপর সন্ধ্যারানীকে ফিরেপেতে সংবাদ সম্মেলন

সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ভুল বানানের ছড়াছড়ি, বাদ যায়নি বাংলা একাডেমিও

Reporter Name / ৪২৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মোঃ সাবিউদ্দিন: বিসিএস সহ নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করার একমাত্র দায়িত্বভার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের। প্রতিষ্ঠানটি বিসিএস পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটলেও সাইনবোর্ডে নিজের নামে ভুল বানান বয়ে বেড়াচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

বাংলা একাডেমি রচিত বাংলা বানান অভিধান অনুযায়ী সারকারি শব্দটি ই-কার (ি-কার) দিয়ে ব্যবহার করার কথা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ব্যবহার হচ্ছে ঈ-কার (ী-কার) (সরকারী)। যদিও ওয়েবসাইটে ঠিকই প্রতিষ্ঠানটির নাম ি-কার দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন লেখা রয়েছে।

ওদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাইরের সাইনবোর্ডে একাডেমি শব্দটিতে বাংলা বানান অভিধানের আলোকে একডেমি লিখলেও ভেতরের সাইনবোর্ডগুলোতে এখনও ী-কার দিয়ে লেখা রয়েছে একাডেমী।

শুধু এই দুই প্রতিষ্ঠানই নয়, খোদ উচ্চ আদালতও বয়ে বেড়াচ্ছে ভুল বানান। প্রতিষ্ঠানটির সাইনবোর্ডে সুপ্রীম কোর্ট লিখেছে ী-কার দিয়ে। যদিও বাংলা বানান অভিধান অনুযায়ী বিদেশি শব্দ হিসেবে লিখার কথা ছিল ‘সুপ্রিম কোর্ট’।

ভুল বানানের নামে পরিচিত হচ্ছে নোয়াখালী সরকারি কলেজসহ জাতি গড়ার বহু সূতিকাগারও। কিছু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের নাম ঠিক হলেও ওয়েবসাইটে রয়ে গেছে ভুল, কারো আবার ওয়েবসাইট ঠিক থাকলেও লোগেতে ভুল। সরকারি যানবাহন অধিদফতর তাদের সাইনবোর্ড ঠিক করলেও এখনও ওয়েবসাইটে সরকারী লেখা রয়েছে ী-কার দিয়ে। একই অবস্থা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে। সরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাস কোম্পানিও এখনও নিজেদের নাম লিখতে কোম্পানী লিখছে ী-কার দিয়ে। শুধু সাইনবোর্ড নয়, সরকারি নানান পত্রেও প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে বাংলা ভুল বানানের ছড়াছড়ি। যাকে শহীদের রক্তে অর্জিত মাতৃভাষার অবমাননা বলে মনে করেন সচেতন মানুষ।

যদিও ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর সরকারি কাজে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত বানান অনুসরণ করতে একটি বিশেষ অনুশান জারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে এই অনুশাসন বাস্তবায়ন সব মন্ত্রণালয়কে দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিল। সেই অনুশাসনে একাডেমি ও সরকারিসহ বিভিন্ন প্রচলিত ভুল বানান চিহ্নিত করে দিয়ে তা সংশোধন করতেও বলা হয়। কিন্তু এক যুগেও বাস্তবায়ন করা যায়নি এই অনুশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সরকারি চাকরিপ্রার্থী আফিয়া আঞ্জুম বলেন, চাকরির পরীক্ষাগুলোতে ভুল বানানের জন্য নম্বর কাটা হয়। এজন্য আমরা অভিধানকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ি। কিন্তু অভিধান পড়লেও চোখের সামনে দেখা অনেক ভুল মনে থেকে যায়। যার কারণে অনেকসময় ভুলও হয়। এজন্য সঠিক বানান নিশ্চিতে বাংলা একাডেমির কাজ করা উচিত।

সাকিব হাসান নামে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন তাদের সাইনবোর্ডে একটা লিখেছে ওয়েবে লিখেছে আরেকটা। আর্থাৎ তারা নিজেরাই যেন সন্দিহান। এত বছরেও নিজের প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ঠিক করতে না পারা এই প্রতিষ্ঠানটির অন্তত চাকরিপ্রার্থীদের বানান ভুল দেখা বেমানান।


More News Of This Category
bdit.com.bd