• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্ম্য, সেবায় চরম বিঘ্ন ও ভোগান্তি রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নস্থ সোনাইছড়িতে মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব২০২৫ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে বিএনপি নেতার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল, নিন্দার ঝড় । দৈনিক সময়ের ডাক গাজীপুর মহানগরের ১৪ নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান গাজীপুর ছাত্রদলের দুর্দিনের কর্মী অনিক কে বহিষ্কার করায় প্রতিবাদের ঝড় কর্মীদের মাঝে গাজীপুর মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন নববর্ষে বর্ষবরণের বর্ণিল শোভাযাত্রায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ গাজীপুরে বাসন মেট্রো থানা জিয়া সৃতি সংসদ বৈশাখী শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের আনন্দময় উৎসব —-মো: টুটুল তালুকদার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, প্রিয় আশিক চৌধুরী বনাম একশ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রসঙ্গে খোলা চিঠি। নওগাঁয় ক্ষুদ্রনৃগোষ্টি আদিবাসী পরিবারের গৃহবধু পরোকিয়ার বলি শিকার অতঃপর সন্ধ্যারানীকে ফিরেপেতে সংবাদ সম্মেলন

দেশে ব‍্যাঙের ছাতার মত রাজনীতি দল, ব‍্যাঙের মতই লাফালাফি, অকার্যকর কথার ঝুলি, জন আশার গরম ভাতে ছাই।

অথই নূরুল আমিন / / ২১ Time View
Update : শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

অথই নূরুল আমিন :

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন। এই কামনা রইল। সামনে ঈদ আসছে। সবাইকে অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের লেখা। আমাদের এই দারিদ্র্য ছোট্ট দেশটার মাঝে মাত্র পনেরো শতাংশ জনগণ পয়সার মালিক। তার মধ‍্যে তিন শতাংশ লোকেরা বিশাল ধনী। এখানে উচ্চ মধ‍্যবিক্ত মাত্র পনেরো শতাংশ জনগণ। বাকি সবাই নিম্ন আয়ের জনগণ। তার মধ‍্যে সত্তর শতাংশ নিম্ন আয়ের জনগণের মাঝে, পঁচিশ শতাংশ জনগণের জমি নেই, ঘর নেই। তার মধ‍্যে পাঁচ শতাংশ জনগণের রাতে ঘুমানোর পর্যন্ত ঘর নেই। যে খানে সে খানে ফুটপাতে বা কোন রেল স্টেশনে বা লঞ্চ স্টেশনে রাত্রি যাপন করে। উপরে উল্লেখিত জরিপ দেখে মনে হচ্ছে দেশটা খুবই জরাজীর্ণ। রোগাসন্ন অবস্থায় আছে সবকিছু । কিন্তু না, রাজনৈতিক নেতারা যখন তাদের ষ্টেজ সাজিয়ে তাদের নেতাকর্মী নিয়ে যখন মিডিয়ার সামনে ভাষণ দেন। তখন দেখবেন। তারা দেশ নিয়ে, দেশের বেকারত্ব নিয়ে এমনকি ভূমিহীন-গৃহহীন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেন না। তারা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। একদল আরেক দল কে গালাগালী থেকে শুরু করে দিয়ে পরিশেষে মন্দ চর্চায় থেকেই অনুষ্ঠান শেষ। এ ছাড়া দেশের খোজ-খবর নিয়ে যা জানা গেলো। এখন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার জন‍্য। স্কুল কলেজের পোলাপানও এগিয়ে আছে। অনেকেই বলছে। রাজনীতি হলো নাকি এই দেশে একমাত্র বিনা পূজির ভালো ব‍্যবসা। এ রকম অলক্ষনের কথা কিন্তু খুবই খারাপ বলে আমি মনে করি। আমি মনে করি বতর্মানে দেশের রাজনীতি খুবই দূষণীয়। রাজনীতিবিদেরা বেশিরভাগ নেতারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত। আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ কিন্তু মূলত এই ধরনের দুর্নীতিকে প্রায় সবাই ঘৃণা করে থাকেন। তারপরও এই দেশে নতুন পুরাতন মিলে চল্লিশের বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এ যেন দেশ এবং জাতির জন‍্য মহা বিপদের আশঙ্কা দেখা যায়। যেহেতু রাজনীতি মানেই দুর্নীতি। তাহলে এতগুলো দল যে দেশে আছে। তাতেই বুঝা যাচ্ছে। আমাদের দেশে দুর্নীতিবাজ লোকের অভাব নেই। যাকে বলা যায় অগণিত। আমার মনে হয় না। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এতগুলো রাজনৈতিক আর কোনো দেশে আছে বলে আমার জানা নেই। আমাদের দেশে এতগুলো রাজনৈতিক দলের জন্ম দেখে নিশ্চিত করে বলা যায়। আমাদের দেশে কোনো আইনকানুন নেই। অথবা আইনকানুনের তোয়াক্কা কেউ করে না। একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে হলে, আসলে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে। ইহা খুব কঠিন ভাবে সংবিধানে লেখা নেই। এ যেন বড়ই ভর্তার মত একদম সহজ। যেমন বড়ই ভর্তা করতে হলে। বড়ই,কাচা মরিচ, ধইন্না পাতা আর লবণ হলেই হলো। এরকম সহজ পাঠ রাখা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল গঠনের শর্ত হিসাবে । যা প্রথমত হাস‍্যকর। বাংলাদেশের এতগুলো রাজনৈতিক দল দেখে বিশ্বের সচেতন মহল কিন্তু অট্রহাসি হাসবেই। এই যে ব‍্যাঙের ছাতার মত রাজনৈতিক দল। ব‍্যাঙের মতই লাফালাফি। অকার্যকর কথার ঝুলি। তাদের মধ‍্যে অনেকের নেই গঠনতন্ত্র। অনেকের নেই কমিটি। অনেকর নেই অফিস। দেশে হাতে গোনা চার পাঁচটি রাজনৈতিক ছাড়া, অন‍্য দলগুলার সমগ্র দেশজুড়ে দুইশত ভোটার নেই। সত্যি যদি এই দেশে আইন থাকত। এই দেশের বিচারপতিরা যদি দেশ এবং জাতি নিয়ে ভাবতেন। তাহলে ভোটারহীন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে রাজনৈতিক প্রতারণার জন‍্য জেল অথবা জরিমানা করতেন। আসলে আমরা মূলত কেউই দেশ এবং জাতি নিয়ে ভাবি না। দেশের যত বড় পদেই থাকি না কেন। সেই দিন শেষে স্ত্রী পুত্র সংসার নিয়েই যে সবাই ব‍্যস্ত। তা কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায়। সমগ্র দেশটা যেন একটা দিন কানার দেশ হয়ে গেছে। বতর্মান সরকারের কাছে, এই মর্মে আবেদন পেশ করছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে যথাযথ আইনের আওতায় আনা হোক। যাদের উপযুক্ত জনবল নেই। ভোটার ও সমর্থন নেই। অফিস নেই। অর্থ নেই। তাদের বেলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হোক। এই দেশে ডাবের দোকানে, মুদির দোকানে, মিষ্টির দোকানে যদি ভ্রাম‍্যমান আদালত যেতে পারে। তাদের ব‍্যবসার এহেন দুর্বলতার জন‍্য যদি জরিমানা করা যেতে পারে। তাহলে অহেতুক যারা রাজনৈতিক ব‍্যবসার দোকান খোলে বসে আছে, তাদের বেলায় কেন জরিমানা হবে না? গত সাত মাস ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই আমলে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে মাত্র দুই তিনটে রাজনৈতিক দল মাঠে আছে। এবং তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাকি সবগুলো দল কিন্তু কেউ মাঠে নেই। আমার কথা হলো কঠিন ভাবে যাছাই বাছাই করে। অকার্যকর রাজনৈতিক দলগুলোকে বন্ধ করা হোক। এবং দেশে রাজনৈতিক দল গঠনের জন‍্য কঠিন আইন করা হোক। সেই আইনের শর্ত পূরণ করে সবাই মজবুত রাজনৈতিক দল গঠন করুক। সমাজের এবং দেশের কল‍্যাণে কাজ করুক। শুধুমাত্র রমজানের সময় ইফতারের আয়োজন করে। ইফতার পার্টি যেন নাম না হয়ে যায়। সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। দেশের রাজনৈতিক নেতারা শুদ্ধ হোক। রাজনীতির প্রতি মানুষের সম্মান বাড়ুক। দেশের উন্নয়ন দশের উন্নয়ন প্রকৃত রাজনীতির মাধ‍্যমেই সম্ভব। আমার দেশের সকল মানুষজন ভালো থাকুক। এই কামনা রইল।


More News Of This Category
bdit.com.bd