• বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নওগাঁর মান্দায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়েকরে ভাইরাল অতঃপর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা পত্নীতলা আত্রাই নদীতে গোসল করতে যেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল  বাংলাদেশ বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইলেন বিএসএফ ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেপ্তার ৬ জন “আইন কে তোয়াক্কা না করে, পরিবেশ দূষণে ব্যস্ত পিপলস পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেড” নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ জন সদস্যসহ ৮ জন গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার শার্শায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু  বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ বিদ্যুত চাকমা নামক এক সন্ত্রাসী আটক গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে দালাল সিন্ডিকেট ছাড়া মিলেনা সেবা

নওগাঁর মান্দায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়েকরে ভাইরাল অতঃপর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা

উজ্জ্বল কুমার, নওগাঁ প্রতিনিধি : / ৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

উজ্জ্বল কুমার, নওগাঁ প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আজ বুধবার মান্দা থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। মামলায় প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন বলেন, গত ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণ সহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। কুসুম্বা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের এসব কুকীর্তির ঘটনায় এলাকাবাসি মান্দা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন। এ সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিবারসহ এলাকাবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। অবশেষে আজ বুধবার নির্যাতিতা শিক্ষার্থী বাবা বাদি হয়ে মান্দা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সহযোগী আসামি করা হয়েছে তার প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে। উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। এ ঘটনার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী রীনা আক্তার পুতুল দুসন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবা বাড়ি চলে যান। এতে ফুঁসে উঠেন এলাকাবাসি, তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ঘটনার তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।


More News Of This Category
bdit.com.bd