সময়ের ডাক ডেস্ক :
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও গাজীপুর সার্কেল কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় চিত্র ভিন্ন। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলে না সেবা। সড়কের আনফিট গাড়ীগুলো পাচ্ছে ফিটনেস সার্টিফিকেট। আর এ সবই চলছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।এমনই অভিযোগ করছেন সেবাপ্রার্থীর। মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট গোলাম সারোয়ার তৈরি করেছেন নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট বাহীনি। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের সেবা প্রার্থীদের। দৈনিক সময়ের ডাক প্রতিবেদক গাজীপুর বিআরটিএ তে সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলেন। সেখানে একেকজন এককেক কাজে এসেছেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স, নাম পরিবর্তন, গাড়ির ফিটনেস, নবায়ন এবং সংশোধন সহ নানা সেবা নিতে। তাদের সাথে কথা বলেলে সবাই জানান কোনো না কোনো দালালের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন। দৈনিক সময়ের ডাক প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন, আপনারা কী নিজেরা সেবা নিতে চেষ্টা করেন নাই? সেবাপ্রার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন প্রথমবার কাগজ জমা দেওয়ার করে নাই। দীর্ঘদিন ঘুরে দালাল ধরেছেন। এখন কাজ হয়েছে।সেবাপ্রার্থীরা কেউ নাম প্রকাশ করতে চান না। নাম প্রকাশ করলে লাইসেন্স বাতিল করে দিবেন বা সংশ্লিষ্ট কাজ আর হবে না এমন আশংকা করেন সবাই। দৈনিক সময়ের ডাক প্রতিবেদক সেবা প্রার্থীদের সাথে কথা বললে দুই জন ব্যাক্তি দালাল সিন্ডিকেটের সদস্য সোলাইমান মিয়ার নাম বলেন। এই সোলাইমান মিয়া মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট গোলাম সারোয়ারের নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্যতম বলে গাজীপুর বিআরটিএ তে ভালো সুপরিচিতি রয়েছে। এই বিষয়ে মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট গোলাম সারোয়ারের সাথে কথা বলতে গেলে কথা বলতে রাজি হননি। মোবাইল ফোনে এই বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে। তিনি ফোন রিসিভ করে পরিচয় দেওয়ার পরে ফোন কেটে দেন। মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা দিলে তার উত্তর পাওয়া যায়নি। গাজীপুর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ওনার অফিসে একাধিক বার গিয়ে ওনাকে পাওয়া যায়নি। এক স্টাফ কে জিগ্যেস করলে ওনি বলেন এডি স্যার নিয়মিত অফিস করেন না। ওনার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। দৈনিক সময়ের ডাক প্রতিবেদক বিআরটিএ তে কর্মরত মোটরযান পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম সুমন এর সাথে দালাল সিন্ডিকেট সদস্য ও মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট গোলাম সারোয়ারের ভিডিও সম্পর্কে বললে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি জানেন না। আপনার কাছ থেকে জেনেছি আমি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সহকারী পরিচালক কে অবহিত করবো।