সৈয়দ মইনুল হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২০২৫ সনের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত ১০টি প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এবছরের জুনে প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের ধীরগতির ফলে প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নদী রক্ষা বাঁধের ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মতিন কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাজিতপুর থানার আছানপুরে ১টি,বলিয়ারদি ইউনিয়নের শাহপুরে ১টি, নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে ১টি ও ও শিংপুর ইউনিয়নের ১টি নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন অত্র প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহপুর নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হলেও আছানপুরে কাজ নামে মাত্র চলছে।ছাতিরচর ও শিংপুরে নদী রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে গড়ে ৪০-৪৫ ভাগ। অথচ এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হাতে সময় আছে মাত্র এক মাস। তবুও মতিন কনস্ট্রাকশন এর কর্মকর্তারা নিচ্ছেন না কোন উদ্যোগ বলে অভিযোগ করেছেন নদী পাড়ের ভাঙ্গন কবলিত মানুষ। গত শনিবার কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদসহ টাস্কফোর্স ছাতিরচর ও শিংপুরে এসে নদী রক্ষা বাঁধের কাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন। ভাঙ্গন কবলিত নদী পাড়ের মানুষ প্রতিবেদককে বলেন, এবছর বন্যা হলে অসমাপ্ত কাজগুলো পানির তোড়ে ভেসে যাবে, আর তাতে তাদের দুর্ভোগের কোন সীমা থাকবে না।