সৈয়দ মইনুল হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জ জেলাবাসীর একসময়ের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবার ভরসাস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালটি যদিও বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছে তাদের স্বজনদের কাছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে মন্জরীকৃত ৬৩টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪১ জন। অপরদিকে কনসালটেন্ট পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শূন্যপদ রয়েছে ২২টি। তাছাড়া ১ জন আর এম ও,১ জন ই এম ও এবং ৩ জন মেডিকেল অফিসারসহ মোট ৫ জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন যাবৎ বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।আর ৩ জন মেডিকেল অফিসার সংযুক্তিতে রয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট চিকিৎসকের ১০টি পদের মধ্যে ৯টি পদ শূন্য রয়েছে। শুধুমাত্র সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক পদে ১ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। সিনিয়র কনসালটেন্ট পদে এনেসথেসিয়া, সার্জারি, শিশু,মেডিসিন, ইএনটি, ডেন্টাল, কার্ডিওলজি, চক্ষু পদগুলোতে কোন চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে জুনিয়র কনসালটেন্ট ৯টি পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া সহকারী সার্জন কিংবা মেডিকেল অফিসার পদে ৩৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৪ জন। জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু,রেডিওলজিস্ট,অর্থো, সার্জারি, শিশু, প্যাথলজি, মেডিসিন, গাইনী, কার্ডিওলজি, মানসিক ও গ্যাস্ট্রোলজি পদে ১টি করে পদ শূন্য রয়েছে। মেডিকেল অফিসার হোমিও ও মেডিকেল অফিসার ১৪টি পদের মধ্যে ৬টি পদ খালি রয়েছে। অদ্য সোমবার দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়,চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেক রোগী ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে চলে যাচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। রফিকুল ইসলাম নামে এক রোগীর অভিভাবক প্রতিবেদককে জানান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় তারা রোগীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন। অত্র হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাজরীনা তৈয়ব সময়ের ডাককে জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আশা করছেন অল্প সময়ের মধ্যেই এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে কিশোরগঞ্জবাসীর ভরসাস্থল এই হাসপাতালটি।